বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি খুব খুশি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
তার দাবি, এটা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার রুখতে বিএসএফের সাফল্যের প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, “সেদিন বাংলাদেশের হাইকমিশনার আমার সঙ্গে দেখা করতে এলে গরু পাচার নিয়ে আমরা কথা বলছিলাম – তখন রাষ্ট্রদূত জানালেন সীমান্তে এই কড়াকড়ি শুরু হওয়ার পর সে দেশে বিফের দাম না কি ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। শুনে আমি খুশি হয়েছি।”
ভারতের শাসক দল বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে গোরুকে গোধন বলে বর্ণনা করে থাকে, এবং দেশের বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতেও গোমাংস নিষিদ্ধ করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সেই একই পটভূমি থেকেই ‘রাষ্ট্রীয় গোধন মহাসঙ্ঘ’-র সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও জানান, এই পদে আসার এক মাসের মধ্যেই তিনি ঠিক করে ফেলেছিলেন যে কোনওভাবে হোক বাংলাদেশে গরু পাচার রুখবেন।
“প্রথমবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সফরে গিয়েই আমি জওয়ানদের বলেছিলাম আমার এই সফর তখনই সার্থক হবে যখন সীমান্ত পেরিয়ে আর একটি গরুও বাংলাদেশে যেতে পারবে না। সেই কাজে তারা দারুণ সফল হয়েছেন।”
মন্ত্রী অবশ্য সেই সঙ্গেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষের বিফ কিনতে কষ্ট হচ্ছে বলে তিনি খুশি নন, তিনি খুশি ভারত থেকে গরু পাচার কমছে বলে।
গোসম্পদ রক্ষা করতে তাদের সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে রাজনাথ সিং আরও বলেন, ভারতে যে কোনও জনদরদী সরকারের উচিত গরিষ্ঠ হিন্দুর ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়ে গোহত্যা নিরুৎসাহিত করা। তার এই যুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে রাজনাথ সিং ইতিহাস থেকে মুঘল ও ব্রিটিশ শাসকদের দৃষ্টান্তও টেনে আনেন।